ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচনে আলহাজ্ব এড ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী কে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই 

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি ::

স্বাধীনতার পর বাঙালী জাতির ইতিহাসে সব থেকে বড় অর্জন হল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় লাভ। কেননা দেশকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়নের গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দিয়ে উন্নতশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দেশব্যাপী জনগণ যখন তাদের সৎ ও যোগ্য প্রার্থীর চিন্তাভাবনা করছে ঠিক তখনই  কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম চলে আসে, সে আর কেউ নয় আমাদের দ্বীপের গনমানুষের প্রাণপ্রিয় জননেতা আলহাজ্ব এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।  কুতুবদিয়া উপজেলার সর্বস্তরের সাধারন মানুষের একটাই দাবি তাকে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই।
জাতীয় নির্বাচনের রেশ না কাটতেই আরেকটি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনে। আগামী ৩১ মার্চে ২০১৯, কুতুবদিয়া  উপজেলা নির্বাচনে এলাকাবাসী এবার যোগ্য চেয়ারম্যানকে বেছে নিবে। যার দ্বারা কুতুবদিয়া উপজেলার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারবে জনগন তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ জাতীয় একাদশ নির্বাচনে ককসবাজার-২ আসনের প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষে গণসংযোগ প্রচারের মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আলহাজ্ব এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপর আস্তা রেখে দিনরাত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ককসবাজার-২ আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা কমী নিয়ে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ঘরে ঘরে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন আলহাজ্ব এড ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী । আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। নৌকা প্রতীকে সারা বাংলাদেশে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার কারণ দলের সকল নেতা কর্মী অকান্ত পরিশ্রম এবং আওয়ামীলীগ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বলেন, আসন্ন কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন তাকেই দিবেন বলে আশা রাখেন এলাকাবাসী। কুতুবদিয়া উপজেলা বাসীকে একটি আধুনিক পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন আলহাজ্ব এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।  তিনি ২০০১ সনের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে (আলহাজ এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী) সেই সময়ে বিএনপি সরকার শাসন আমলে কক্সবাজার -২ কুতুবদিয়া- মহেশখালী আসনে নির্বাচন করেন। তবে আওয়ামীলীগের র্দূ-দিনের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে চ্যালেঞ্জের মুখে থেকে এখনো পর্যন্ত আওয়ামীলীগের পক্ষে নিবেদিত প্রাণ দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সে সময় থেকে এ পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচী ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ এবং সামাজিক কাজে জড়িত থেকে সাধারণ মানুষের মন জয় করে বেঁেচ আছেন।
তাহার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে ১৯৯০ সনে জাতীয় পাটির শাসন আমলে জাতীয় পাটির প্রার্থী আলহাজ মনজুর আলম সিকদারের বিপক্ষে ভোট করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলহাজ এড ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী।
তিনি দলীয় পরিচিতি ছাড়াও ব্যক্তিগত ইমেজে মানুষের মনে আস্তা অর্জন করে ১৯৯৭ সনে বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল।
বিগত ২০০৯ সনে কক্সবাজার জেলা আইনজীবি (বার) সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৬ সনে বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ১৯৬৮ সন থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৃহত্তম দল আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বর্তমানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আসীন আছেন।
সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে সেবামুলক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং কুতুবদিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
কুতুবদিয়া দ্বীপের প্রতিষ্ঠিত পরিবার মাতবর বাড়ির সন্তান হলেও দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বছর কক্সবাজার জেলা জজ কোর্টে আইনজীবি পেশায় নিয়োজিত থেকে কুতুবদিয়া দ্বীপের গরীব দূঃখী মেহনতি মানুষের সেবা করে আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। বিপদ কালে যাকে কাছে পেয়েছে তার নাম স্বরণ করে ভোটাররা তপশীল ঘোষনার পূর্বেই প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে৷ এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধূরীর পক্ষে।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগীতা ও বিপদকালে উপকার করেছে তারা এখন তার কথা বলছে।
দ্বীপের মানুষ আলহাজ এড ফরিদুল ইসলাম চৌধূরীকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে ময়দানে তাহাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।সৌজন্যেঃ আবু জাফর সিদ্দিকী, আহবায়ক কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ।

পাঠকের মতামত: